সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোধিনি রাই
বৃন্দাবনের বংশিধারী ঠাকুর কানাই ।
একলা রাধে জল ভরিতে যমুনাতে যায়
পেছন থেকে কৃষ্ণ থখন আরে আরে চায় ।
জলভর জলভর রাধে ও গোয়ালের ঝ্বি
কলস আমার পূর্ন কর রাধে বিনোধি ।
কালোমানিক হাত পেতেছে চাঁদ ধরিতে চায়
বামন কি আর হাত বারালে চাঁদের দেখা পায় ।
কলো কালো করিসনালো ওগোয়ালের ঝ্বি
আমায় বিধাতা করেছে কালো আমি করব কি ।
এক কালো যমুনার সর্বকালি খায়
আগে কালো আমি কৃষ্ণ সকল রাধে চায় ।
এই কথা শুনিয়া কানাই বাশি হতে নিল
সর্প হয়ে কালো বাশি রাধেকে ধংশিল ।
বামপায়ে ধংশিল রাধের বামপায়ে ধরিল
মরলাম মরলাম বলে রাধে জমিনে পরিল ।
মরবেনা মরবেনা রাধে মন্ত্রভাল জানি
দু-একখানা ঝাড়া দিয়ে বিশ করিব পানি ।
এমন অঙ্গের বিশ যে ঝাড়িতে পারে
সোনার এই য়ৌবনখানি দান করিব তারে ।
এই কথা শুনিয়া কানাই বিশ ঝাড়িয়া দিল
ঝেরেঝুরে রাধে থখন গৃহবাসে গেল ।
গৃহবাসে গিয়ে রাধে আরে পেচায় চুল
কদম ডালে থাইক্কা কানাই ফিক্কা মারে ফুল ।
বিয়া নাকি কর কানাই বিয়া নাকি কর
পরের রমনি দেখে জ্বালায় জলে মর ।
বিয়াগো করিব রাধে বিয়াগো করিব
তোমার মত সুন্দর রাধে কোথায় গেলে পাব ।
আমার মত সুন্দর রাধে যদি পেকে চাও
গলায় কলস বেধে যমুনাতে যাও ।
কোথায় পাব হার কলশি কোথয় পাব দরি
তুমি হও যমুনা রাধে আমি ডুবে মরি ।
ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন