শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭

আমি বাংলায় গান গাই



আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই
আমি আমার আমি কে চিরদিন, এই বাংলায় খুজে পাই ।
আমি বংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বংলায় বাদি শুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে, হেটেচি এতটা দুর।
বাংলা আমার জীবনানন্দ, বাংলা প্রানের শুর
আমি একবার দেখি বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।

আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় হাসি বাংলায় ভাসি, বাংলায় জেগে রই ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হা-হাকার
আমি সব দেখেশুনে ক্ষেপেগিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ।
বাংলা আমার দিপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত দির্ঘরুপ
আমি একবার দেখি বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।

আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর, মানুষের কাছে আসি ।
আমি যা-কিছু মহান বরন করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
মিশে তেরনদী সাত সাগরের জল, গঙ্গায় পদ্ধায় ।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল, তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।।


ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা



তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা
গঙ্গার স্রোত ধরে পেয়েছি চলার নিশানা।।

কন্ঠের সুর কোনও মানে না ভাষা
হৃদয়ের ভাষাতেই মেটে পিপাসা
সাত মহাসাগরের উজানে ভেসে
আমরা যেখানে থামি —-সেই সীমানা।।

যেখানে কান্না আর রক্ত মেঘে
আঁধারের বাঁধ ভেঙে সূর্য ওঠে আকাশে আবার
সেখানে নিশানা আছে এগিয়ে যাবার।

যখন আখের স্বাদ নোনতা লাগে
লবঙ্গ বনে ঝড়ের হাওয়ারা জাগে
এক বুক ভালবাসা উজাড় করা
যেখানে ফসল ফলে প্রাণের সোনা।।


ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

আগের বাহাদুরি এখন গেল কই


চলিতে চরণ চলেনা দিনে দিনে অবশ হই ।
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
মাথায় চুল পাকিতেছে মুখের দাঁত নড়ে গেছে
চোখের জ্যোতি কমেছে মনে ভাবি চশমা লই ।
মন চলেনা রঙ তামাশায় আলস্য এসেছে দেহায়
কথা বলতে ভুল পড়ে যায় মধ্যে মধ্যে আটক হই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
কমিতেছি তিলে তিলে ছেলেরা মুরুব্বী বলে
ভবের জনম গেল বিফলে এখন সেই ভাবনায় রই ।
আগের মত খাওয়া যায়না বেশি খাইলে হজম হয়না
আগের মত কথা কয়না নাচেনা রঙের বারুই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
ছেলেবেলা ভাল ছিলাম বড় হয়ে দায় ঠেকিলাম
সময়ের মূল্য না দিলাম তাইতো জবাবদিহি হই ।
যা হবার তা হয়ে গেছে আব্দুল করিম ভাবিতেছে
এমন একদিন সামনে আছে একেবারে করবে সই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।





বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭

তুমি দিন থাকতে দ্বীনের সাধন





তুমি দিন থাকতে দ্বীনের সাধন, কেন করলে না
সময় গেলে সাধন হবে না >>>>>>>>>>>>

জানো না মন খালে বিলে, থাকে না মিল জল শুকালে
কি হবে আর বাদাম তুলে  থাকে মোহনার শুকনা
সময় গেলে সাধন হবে না >>>>>>>>>>>>

অসময়ে কৃষি কইরে, মিছমিছি খেটে মরে
গাচ যদিও হয় বীজের জোরে, ফল ধরেনা
সময় গেলে সাধন হবে না >>>>>>>>>>>>

অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়, মহা জোগ সে দিনে উদয়
লালন বলে তাহার সময়, দ্বন্দ রয় না
সময় গেলে সাধন হবে না >>>>>>>>>>>>


ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

পাবে সামান্যে কি তার দেখা






পাবে সামান্যে কি তার দেখা, বেদে নাই যার রূপ-রেখা
ওরে বেদে নাই যার রূপ-রেখা ।
পাবে সামান্যে কি তার দেখা>>>>>>>>>>>>>>

কেউ বলে, পরম মিষ্টি, কারো না হইল দৃষ্টি
বরাতে দুনিয়া সৃষ্টি, তাই নিয়ে লেখাজোখা।
ওরে তাই নিয়ে লেখাজোখা
পাবে সামান্যে কি তার দেখা

নিরাকার ব্রহ্ম হয় সে সদাই ফেরে অচিন দেশে
দোসর তাই নাইকো পাশে, ফেরে সে একা একা ।
ওরে ফেরে সে একা একা।
পাবে সামান্যে কি তার দেখা

কিঞ্চিৎ ধ্যানে মহাদেব, সে তুলনা কি আর দেবো
লালন বলে গুরু ভাবো, যাবে রে মনের ধোঁকা ।
ওরে যাবে রে মনের ধোঁকা।
পাবে সামান্যে কি তার দেখা

ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন



আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন
খুঁজি তারে আমি আপনায়
আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি
আমারে পিয়াসী বাসনায়।।
আমারে মনেরো তৃষিত আকাশে
কাঁদে সে চাতক আকুলো তিয়াসে
কভু সে চাতক শুধা চোর আসে
নিশিথে স্বপনে জোছনায়।।
আমারে মনের পিয়ালো তমালে
হেরে তারে স্নেহ মেঘ শ্যাম
অশনি আলোকে হেরি তারে ফির
বিজলী উজল অভিরাম।।
আমারে রচিত কাননে বসিয়া
পরানো পিয়ারে মালিকা রচিয়া
সে মালা সহসা দেখিনু জাগিয়া
আপনারে গলে দোলে হায়।।
আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন
খুঁজি তারে আমি আপনায়।।
ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭

যখন সময় থমাকে দাড়ায়














যখন সময় থমাকে দাড়ায়, নিরাশার পাখি দু-হাত বারায়
খুযেনিয়ে মন নির্ঝনে কোন, কি আর করি তখন ।
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখেমন>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

যখন আমার গানের পাখি, শুধু আমাকে দিয়ে ফাকি
সোনার শিকলে ধরাদেয় গিয়ে, আমি শুন্যতা ঢাকি  ।
যখন এঘরে পিরেনা সে পাখি, নিস্পল হয় শত ডাকাডাকি
খুযেনিয়ে মন নির্ঝনে কোন, কি আর করি তখন ।
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখেমন>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

যখন এ মনে প্রশ্নের ঝর, ভেঙ্গেদেয় যুক্তির খেলাঘর
থখন বাতাস অন্য কোথাও, সোনায় তার উত্তর ।
যখন আমার ক্লান্ত চরন, অভিরত বুকে রক্ত খরন
খুযেনিয়ে মন নির্ঝনে কোন, কি আর করি তখন ।
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখেমন>>>>>>>>>>>>>>>>>>>


ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

ছেলে আমার মস্ত মানুষ

















ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায়না দেখা এপার ওপার ।
নানান রকম জিনিস, আর আসবাব দামি দামি
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি ।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাদ সম্ভ্রম
আমার এ ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম ।।

আমার ব্যবহারের এই সেই আলমারি আর আয়না
ওসব বেশ পুরোনো ফ্ল্যাটে রাখা যায়না ।
ও তার বাবার চবি, ঘরি, ছরি, বিদেয় হল তারাতারি
ছেরে দিল কাকে খেল পোষা বুড়ো ময়না ।
স্বমী-স্ত্রী আর এনসেশিয়াল জায়গা বরই কম
আমার এ ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম ।।

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতনাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকিলে কি করবিরে বোকা ।
ঠোট ফুলিয়ে কাদত খোকা আমার কথা শুনে
খোকা বোদহয় আর কাদেনা নেই বুঝি তার মনে ।
ছোট্র বেলায় স্বপ্ন দেখে উঠত খোকা কেদে
দুহাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেধে ।
দুহাত আজো খোজে ভুলে যায়যে একদম
আমার এ ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম ।।

খোকারও হয়েচে ছেলে দু-বছর হল
আরতো মাত্র বছর পঁচিশ এখনি মুখ তোল ।
একশ বছর বাঁচতে চাই এখন আমার স্বাদ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে উনষাট ।
আশ্রমের এই ঘরটায় ছোট জায়গাও দেখেছি
খোকা আমি দুজনাতে থাকব পাশাপাশি ।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভিষণ রকম
মুখোমুখি আমি খোকা আর বৃদ্ধাশ্যম ।।

ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন



গ্রামের নওজওয়ান হিন্দু মুসলমান




গ্রামের নওজওয়ান হিন্দু মুসলমান, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমারা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ।

হিন্দু বাড়ীতে যাত্রাগান হইত, নিমত্রন দিত আমরা যাইতাম
জারিগান বাউলগান আনন্দের তুফান, গাইয়া সারি গান নৌকা দৌরাইতাম ।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমারা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ।

বর্ষাযখন হইত গাজির গান আইত, রঙে ঢঙে গাইত আনন্দ পাইতাম
কে হবে মেম্বার কে-বা গ্রাম সরকার, আমরা কি তার খবর লইতাম ।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমারা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ।

করিলে ভবনা সেদিন আর পাবনা, ছিল বাসনা সুখি হইতাম
দিন হতে দিন অসবে কঠিন, করিম দিনহীন কোন পথে যাইতাম ।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমারা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ।


ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো





মনে চায় প্রানে চায় , দিলে চায় যারে
তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো, আজ আমার প্রাননাথ আসিতে পারে ।

বসন্ত সময়ে কুকিল ডাকে কুহু শুরে
যৌবন বসন্ত এমন, থাকতে দেয়না ঘরে
তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো, আজ আমার প্রাননাথ আসিতে পারে ।

আতর গোলাপ সূয়া চন্দন ছিটাইয়া দাও ঘরে
সাজাওগো ফুলের বিছানা, পবিত্র অন্তরে
তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো, আজ আমার প্রাননাথ আসিতে পারে ।

আসিলে আসিতে পারে ভরসা অন্তরে
করিমে কয় পাইলে কি আর, ছাইরা দিতাম তারে
তোমরা কুঞ্জ সাজাওগো, আজ আমার প্রাননাথ আসিতে পারে ।



ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

কেন পিরিতি বারাইলারে বন্ধু



কেন পিরিতি বারাইলারে বন্ধু, ছেরে যাইবা যদি
আমি কেমনে রাখিব তোর মন, আমার আপন ঘরে বাদিরে বন্ধু
ছেরে যাইবা যদি >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

পারা পরশি বাদী আমার, বাদী কালন্ নদী
মরন জ্বালা সইতে নারি, দিবানিশি কাদিরে বন্ধু
ছেরে যাইবা যদি >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

কারে কি বলিব আমি,  নিজে অপরাধি
কেদে কেদে চোখের জলে, বওয়াইলাম নদিরে বন্ধু
ছেরে যাইবা যদি >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

পাগল আব্দুল করিম বলে,  হল একি ব্যাধি
তুমি বিনে এই ভুবনে, কি আছে ঔষধিরে বন্ধু
ছেরে যাইবা যদি >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০১৭

সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার




সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার, মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার
ভবে মনিুষ গুরু নিষ্ঠা যার

নদী কিংবা বিল বাওর খাল, সর্বস্থলে  একি একজন
একা মেরে সাই, ফিরে সর্বঠাই, মানুষে মিশিয়া হয় বিদান তার
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, ভবে মনিুষ গুরু নিষ্ঠা যার

নিরাকারে জ্যোতির্ময় যে, আকার সাকার হইল সে
দিব্যজ্ঞ্যানী হয়,তবে জানতে পায়, মানুষে মিশিয়া হয় বিধান তার
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, ভবে মনিুষ গুরু নিষ্ঠা যার

বহুতর্কে দিন বয়ে যায়, বিশ্বাসের ধন নিকটে পায়
দরবেশ সিরাজসাই ডেকে বলে লালনকে, বিশ্বাসের দোকান সে করেনা আর
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, ভবে মনিুষ গুরু নিষ্ঠা যার



ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন



আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি সন্ধান জানে









আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি সন্ধান জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে ।

পৃথিবী গোলাকার শুনি, অহর্নিশি ঘটে আপনি
তাইতে হয় দিন রজনী, জ্ঞ্যনীগুনি তাই মানে ।
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে

একদিকেতে নিশি হলে, অন্য দিকে দিবা বলে
আকাশতো দেখে সকলে, খোদা দেখে কয়জনে ।
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে

আপন ঘরে কে কথা কয়, না জেনে আসমানে তাকায়
লালন বলে কে-বা কোথায়, বুঝিবে দিব্যজ্ঞ্যানে ।
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে


ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭

বলি মা তোর চরন ধরে






বলি মা তোর চরন ধরে, নণী চুরি আর করব না মা
আর আমারে মারিসনে মা >>>>>>>>>>>>>>>

নণীর জন্যে আজ আমারে, মারলি মা তুই বেধে ধরে ।
দয়া নাই মা তোর অন্তরে, স্বল্পতেই গেল যানা মা
আর আমারে মারিসনে মা >>>>>>>>>>>>>>>

পরে মারে পরের ছেলে, কেদে গিয়ে মাকে বলে ।
সেই মা জননি নিষ্ঠুর হলে, কে বুজে শিষুর বেদনা মা
আর আমারে মারিসনে মা >>>>>>>>>>>>>>>

ছেরে দে মা হাতের বাধন, যায় যে দিকে যায় দু-নয়ন ।
পরের মাকে ডাকবে লালন, তোর গৃহে আর থাকবে না মা
আর আমারে মারিসনে মা >>>>>>>>>>>>>>>




ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

শুনিলে প্রান চমকে ওঠে









শুনিলে প্রান চমকে ওঠে, দেখতে যেমন ভুজাঙ্গনা
যেখানে সাইর বারামখানা, যেখানে সাইর বারামখানা ।

যা ছুইলে প্রানে মরি, এই জগতে তাইতে তরি
বুঝেও তা বুঝতে নারি, কৃত্তি কর্মার কি কারখানা
যেখানে সাইর বারামখানা, যেখানে সাইর বারামখানা ।

অাত্ত তত্ত যে জেনেছে, দিব্যজ্ঞ্যানী সে হয়েছে
কূ-বৃক্ষে সুফল ফলেছে, কৃত্তি কর্মার কি কারখানা 
যেখানে সাইর বারামখানা, যেখানে সাইর বারামখানা ।

যে ধনের উত্তপত্তি প্রানধন, সে ধনের হইলনা যতন
অকালের ফল পাকায় লালন, এই দুঃখের দোষর মিলল না
যেখানে সাইর বারামখানা, যেখানে সাইর বারামখানা ।


ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন

জাত গেল জাত গেল বলে





জাত গেল জাত গেল বলে,  একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেই নয় রাজি, সবই দেখি তা-না-না-না ।

আসবার কালে কি জাত ছিলে, এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবা যাবার কালে, সে-কথা ভেবে বলনা ।
জাত গেল জাত গেল বলে,  একি আজব কারখানা >>>>>

ব্রাম্মন চন্ডাল চামার মুচি, এক জলে সব হয়গো সূচি
দেখে শুনে হয়না রুচি, যমে তো কাউরে ছারবেনা ।
জাত গেল জাত গেল বলে,  একি আজব কারখানা >>>>>

গোপনে জে বেশ্যার ভাত খায়, তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়, এ ভ্রমতো গেল নারে
জাত গেল জাত গেল বলে,  একি আজব কারখানা >>>>>


ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে

জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটা কি





জানিতে চাই দয়াল তেমার আসল নামটা কি
আমরা বহু নামে ধরাধামে কত রকরমে ডাকি..... ঐ

কেহ তোমায় বলে ভগবান, ওরে গড বলে কেউ করে আহবান
কেহ খোদা কউ জিহুদা, কেউ কয় পাঠিয়ান।
গাইলাম জনম ভরে মুখস্ত গান , মুখভোলা টিয়া পাখি.....ঐ

সর্ব সাশ্রে শুনিতে যে পােই, তোমার নাকি পিতা মাতা নাই
তোমার নামকরন করল কে সাই, বসে ভাবি তাই।
তুমি নামি কি অনামি হে সাই, আমরা তার বুঝিবা কি.......ঐ

কেহ পিতা কেহ পুত্র কয়, ওরে বন্ধু বলে কউ দেয় পরিচয়
তুমি সকলেরি সকল আবার, কারই কিছু নও।
দয়াল তোমার যে আসল পরিচয়, কে জানে তা কিনা কি.......ঐ

পাগল বিযয় বলে মনের কথা কই, আমি খাটি ভবের পাগল নই
আমার গোল বেধেছে মনের মাঝে কাজেই পাগল হই।
আমার বুকে যা নাই মুখে তা- কই, কাটা কান চুলে ডাকি.....ঐ


ভুলত্রুটি দয়াকরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্দিতে দেখবেন